মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিএসিআই সভাপতি প্রকৌশলী সফিকুল হক তালুকদার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্মাণ শিল্পের মূল উপাদানসহ এ খাতের প্রায় সকল প্রকার দ্রব্যাদির মূল্য অস্বাভাবিকভাবে অনবরত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শ্রেণিভেদে দ্রব্যের এ মূল্য বৃদ্ধির হার প্রায় ২৫-৪০%। এ ছাড়া এ শিল্পের সাথে জড়িত শ্রমিক মুজুরীও প্রায় ৬০-৭০% বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য দিকে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের ব্যয়ও সে অনুপাতে বৃদ্ধি পাবে। এমতাবস্থায় চলমান অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির প্রবণতা রোধ সম্ভব না হলে প্রকল্পের সকল নির্মাণ কাজে স্থবিরতা দেখা দিবে এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এতে বলা হয়, সাধারণত জিওবি ফান্ডের সব প্রকল্প ফিক্সড রেটে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পেলেও কাজ শেষে মূল্য সমন্বয় করা হয় না। অথচ বিদেশী ফান্ডের প্রকল্পে মূল্য সমন্বয় বা হার বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। অন্যদিকে সকল সরকারি দরপত্রে যে রেট শিডিউল অনুসরণ করা হয় তা বর্তমান বাজার দরের সাথে সঙ্গতি রেখে হালনাগাদ করা প্রয়োজন। আবার নির্মাণ প্রকল্পের পানি ও বিদ্যুৎ বিল পিডব্লিওডি রেটের সাথে সন্নিবেশিত না থাকায় ঠিকাদারদেরকে তা পরিশোধ করতে হয়, যা পিডব্লিওডি রেট শিডিউলে সন্নিবেশিত করা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। দাবিগুলো হলো-
১. বিশেষ ব্যবস্থায় পিপিআরে সন্নিবেশিত ফরমূলা অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি করে মূল্য সংযোজন চালু করা
২. বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী সকল সরকারি দরপত্রের রেট শিডিউল হালনাগাদ করা
৩. প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত পানি ও বিদ্যুৎ সংক্রান্ত খরচ পিডব্লিওডি রেট শিডিউলে সন্নিবেশিত করা
সংগঠনটির এসব দাবি বাস্তবায়িত না হলে সরকারি নির্মাণ প্রকল্প স্থবির হয়ে পড়া, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হওয়া, বিশাল শ্রমগোষ্ঠী কর্মহীন হয়ে পড়া, ব্যাংক ঋণ শোধ করতে না পেরে ঠিকাদারদের দেওয়ালিয়া হওয়ার আশঙ্কা করছে তারা।