বুধবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এসব মামলা করেন তারা। আদালত তাদের এ বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য বাংলালিংকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। এদিন জেমস আদালতে উপস্থিত হন। এছাড়া মাইলসের পক্ষে দুজন উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে জেমস ও মাইলসের আইনজীবী মিজানুর রহমান মামুন বলেন, ‘নীলা তুমি’ ও ‘ফিরিয়ে দাও’ মাইলস ব্যান্ডের এই দুটি গান কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করে ১৪ বছর ধরে ব্যবহার করে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক। গান দুইটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের মৌখিকভাবে বলা হয়। এরপর ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট গান দুইটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। এছাড়া তিনটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের গান সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়। এরপরও তারা তা সরিয়ে নেয়নি। চলতি বছরের ২১ অক্টোবর বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা করতে গুলশান থানায় যাই। থানায় মামলা না নিলে আমরা আদালতে বিচারের জন্য এসেছি।
তিনি আরও বলেন, নগরবাউলের ছয়টি গান অনুমতি ছাড়া ১৪ বছর ধরে ওয়েলকামটিউন হিসেবে ব্যবহার করছে বাংলালিংক। তাদের এ বিষয়ে বলার পরও গান সরায়নি। আমরা তাদের গান সরাতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাই। এছাড়া তিনটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের গান সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়। এরপরও তারা তা সরিয়ে নেয়নি।
এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলা করতে আবেদন করেন তিনি। এ সময় বিচারক তাকে থানায় (গুলশান থানা) গিয়ে মামলা করতে পরামর্শ দেন। দুপুর ১টার দিকে তিনি বিচারকের পরামর্শে আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।