বৃহস্পতিবার বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ সতর্কবার্তা দেন। লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক ফার্গুসন। তিনি দেশটির সরকারকে করোনা মোকাবিলায় পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
ফার্গুসন বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় আর ফেরা হবে না। আমাদের কিছু মাত্রার সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে; উল্লেখযোগ্য মাত্রার সামাজিক দূরত্ব। এটা করতে হবে অনির্দিষ্টকালের জন্য; ভ্যাকসিন সহজলভ্য না হওয়া পর্যন্ত।
তিনি বলেন, তুলনামূলকভাবে আমাদের সামান্য বিচ্যুতি আছে। তবে আমরা যদি ব্যবস্থাগুলো শিথিল করি, তাহলে সংক্রমণের পুনরুত্থান দেখতে পাবো।
ব্রিটিশ এই মহামারি বিশেষজ্ঞের মতো একই সুর শোনা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের কণ্ঠেও। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড টিএইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকরা বলেছেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি মেনে চলতে হতে পারে। এমনকি এই সময় পর্যন্ত বাড়িতে অবস্থান এবং স্কুলও বন্ধ রাখার প্রয়োজন হতে পারে।
সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত মার্কিন গবেষকদের এই গবেষণায় বলা হয়েছে, একটি ভ্যাকসিন অথবা ভালো মানের প্রতিষেধক না পাওয়া পর্যন্ত অথবা আশঙ্কাজনক সেবাদানের সক্ষমতা না বাড়ানো পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। ২০২২ সাল হবে অনেক দৃশ্যের একটি। কিন্তু হোয়াইট হাউস বলছে, আগামী গ্রীষ্মের মধ্যেই করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।