সার্কুলারে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাকসহ শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের বেতন প্রদানে শ্রমঘন শিল্প এলাকায় তফসিলি ব্যাংকগুলোর সব শাখা সীমিত আকারে চালু রাখতে হবে। এছাড়া, বন্দর এলাকায় প্রয়োজনে ব্যাংকের শাখা বুথ খোলা থাকবে। পাশাপাশি এটিএম ও কার্ডভিত্তিক লেনদেন সার্বক্ষণিক চালু রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান সাধারণ ছুটি ও লকডাউন ঘোষিত বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়িক লেনদেনের সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলো সীমিত আকারে আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে সকাল ১০টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত গ্রাহক লেনদেন করতে পারবে। ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। পাশাপাশি করোনার কারণে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন যেসব এলাকা লকডাউন করবে, ওই এলাকায় সব ব্যাংকের সব শাখা বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, মহানগর ও বিভাগীয় পর্যায়ে সব এডি শাখা (যেখানে বৈদেশিক লেনেদেন সম্পন্ন হয়) খোলা রাখতে হবে। তবে দেশের অন্যান্য এলাকায় নিজেদের বিবেচনায় নির্বাচিত এডি শাখা খোলা রাখা যাবে। এছাড়া, সমুদ্র-স্থল-বিমানবন্দর এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখতে হলে স্থানীয় প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।