শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বাজুস সভাপতি এনামুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন যাবৎ করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট ও নানা জটিল সমীকরণের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে অস্থিরতা চলছিল। এরই মাঝে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিকভাবে তেলের দাম বেড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। এছাড়া চাহিদার বিপরীতে যোগান কম থাকায় বিশ্ববাজার ও দেশীয় বুলিয়ন/পোদ্দার মার্কেটেও স্বর্ণের দাম অনেকাংশে বেড়েছে।
তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৩ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণ ও রৌপ্যের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভাল মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম হয়েছে ৭৪ হাজার ৩০০ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৭১ হাজার ১৫০ টাকা আর ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ৬২ হাজার ৪০২ টাকা।
তবে সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কমে হয়েছে ৫২ হাজার ৮০ টাকা।
বর্তমানে প্রতি ভরিতে স্বর্ণের এ দাম ২২ ক্যারেটের ৭১ হাজার ৯৬৭ টাকা, ২১ ক্যারেটের ৬৮ হাজার ৮১৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৬০ হাজার ৭০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি ৪৯ হাজার ৭৪৭ টাকা।
স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার আগের নির্ধারিত দামই বহাল রয়েছে। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫১৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের রুপার দাম এক হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ৯৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।