বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআরটির সেমিনার কক্ষে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফাহিমা খানম।
আরও উপস্থিত ছিলেন গবেষণা কার্যক্রমের সুপারভাইজার প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামান, কো-সুপারভাইজার প্রফেসর ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আরিফুজ্জামান, পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, পরীক্ষা কমিটির সদস্য ড. আবু তাহের মাসুদ, কৃষি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক প্রফেসর ড. হাসানুজ্জামান বলেন, নতুন উদ্ভাবিত জাতের করলা ৪২ দিনে ফলন দেয় কিন্তু আগেরগুলোতে সময় লাগত ৪৬ দিন। করলার গায়ে দাগ বা কাটার পরিমাণ তুলনামূলক কম হওয়ায় পরিবহনে সুবিধা রয়েছে। প্রতি একর জমিতে ফলন ১১.২ টন যা আগের তুলনায় ১.২ টন বেশি। প্রতিটি করলার দৈর্ঘ্য ২৭ সেমি এবং ওজন ২৬০ গ্রাম। যা অন্যান্য জাতের তুলনায় বেশি।
ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাকার্য সমৃদ্ধ করার প্রত্যয়ে জিন ব্যাংক এবং প্রযুক্তি গ্রাম প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দেন। এছাড়া কৃষি গবেষণা মাঠের উন্নয়ন, পাবলিক-প্রাইভেট নীতিমালা গ্রহণের বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। তাই বাংলাদেশ এখন কৃষিক্ষেত্রে বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে এর আগেও মিষ্টি কুমড়ার দুটি জাত (হাজী ও দানেশ) উদ্ভাবিত হয়েছে। এছাড়া আরও একটি করলার জাত এবং গমের জাত উদ্ভাবনের কাজ চলমান রয়েছে।