সোমবার (১৫ নভেম্বর) নিজের সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির মুখে একযুগের বেশি সময় ধরে আন্দোলনের কথা শুনে আসছে দেশের মানুষ, কিন্তু আন্দোলন আর দেখে না জনগণ। তাদের আন্দোলন বানরের তৈলাক্ত বাঁশে উঠার অংকের মতই।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা একদিকে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেয়, অন্যদিকে বলে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হলে আপত্তি নেই। তাদের এ দ্বৈতনীতি বা দ্বিচারিতার রাজনীতি দেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় অন্যতম প্রধান বাধা। সরকার এবং দেশের যেকোনো ভালো কাজকে বিতর্কিত করাই বিএনপির কাজ।
বিএনপির বর্ণচোরা রাজনীতির মুখোশ এখন উন্মোচিত, দেশের মানুষ তাদের কথা ও কাজে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে বলেও দাবি করে ওবায়দুল কাদের, ধ্বংসের রাজনীতির উত্তরাধিকার বহন করছে বিএনপি। খুন, সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্র বিএনপিরই মজ্জাগত দোষ।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মরণঘাতী কর্মসূচি সরকার নয়, বিএনপিই পালন করছে। আগুন-সন্ত্রাসের মতো কর্মসূচির জনক বিএনপিই। দেশের মানুষ ভালো আছে, শুধু ভালো নেই বিএনপি।
ভাস্কর্য নিয়ে হেফাজতি সন্ত্রাসের মূল কুশীলব ছিল বিএনপি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে উসকানি ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে বিএনপিই তাদের পুনর্বাসন করেছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে নেই বরং সন্ত্রাসী, অনিয়মকারী, দুর্নীতিবাজ ও বিএনপির আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতারা আতঙ্কে আছে। তাদের এ অপরাজনীতির শেষ কোথায়- প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের।