বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।
তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার বিআইটিআইডিতে ১১১টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন আরও ১৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে লক্ষ্মীপুরের ১৭ জন, ১ জন চট্টগ্রামের ও অপরজন ফেনী জেলার। চট্টগ্রামে নতুন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি নগরের সরাইপাড়া এলাকার।
চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য অনুয়ায়ী, চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল। চট্টগ্রামের দামপাড়ায় ৬৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তার ওমরাফেরত মেয়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। পরে ৫ এপ্রিল ওই ব্যক্তির ২৫ বছর বয়সী ছেলের শরীরেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তবে গতকাল নতুন পরীক্ষায় তিনি করোনা নেগেটিভ হয়েছেন।
৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হন তিনজন। একদিন বিরতি দিয়ে ১০ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষায় আরও দুইজনকে করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। পরে ১১ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনারোগী হিসেবে শনাক্ত হন তিনজন। ১২ এপ্রিল চট্টগ্রামে সে সংখ্যা বেড়ে পাঁচজন করোনারোগী শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের একজন শিশু ওইদিন দিবাগত রাতে জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। এছাড়া এদিন ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যও করোনোয় আক্রান্ত হন।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামে শনাক্ত হওয়া দুই করোনা রোগীর একজন নারী করোনা শনাক্তের আগেই আইসোলশনে থাকা অবস্থায় মারা যান। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রামে ১১ জন করোনারোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে এক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১ জন করোনায় আক্রান্তসহ চট্টগ্রামে মোট রোগীর সংখ্যা ৩৩ জন।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে এক শিশু, এক বৃদ্ধ ও এক নারীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া আইসোলশনে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন পাঁচজন। মৃত্যুর পর তাদের চারজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ পাওয়া যায়। একজনের ফলাফল জানা যায়নি।