বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এই বরাদ্দ দিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এর আগে কয়েক দফায় ৬৪ জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৪১ কোটি ৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা (শিশুখাদ্য কেনাসহ) ও ৮৫ হাজার ৬৭ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসকরা দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়র নির্দেশিকা অনুসরণ করে এ বরাদ্দ বিতরণ করবেন এবং প্রয়োজনীয় হিসাব সংরক্ষণ করবেন বলে বরাদ্দপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশন এবং পৌর এলাকায় বেশি সংখ্যক কর্মজীবী মানুষ বসবাস করেন বিধায় জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
শিশুখাদ্য ক্রয়ের শর্তাবলীতে বলা হয়, শিশুখাদ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়বিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিধি-বিধান ও আর্থিক নিয়মাচার যথাযথভাবে প্রতিফলন করতে হবে। জিটুজি পদ্ধতিতে কিনে মিল্কভিটার উৎপাদিত গুঁড়াদুধ চলমান কাজে ত্রাণসামগ্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এছাড়া শিশুখাদ্য হিসেবে খেজুর, বিস্কুট, ফর্টিফাইড তেল, ব্রাউন চিনি, সুজি, মসুরি ডাল, সাগু, ফর্টিফাইড চাল, ওয়াটার পিউরিফায়ার ট্যাবলেট, বাদাম, মানসম্মত রেডিমেড ফুড ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য স্থানীয়ভাবে কিনে বিতরণ করতে হবে।
জেলা প্রশাসকরা আরোপিত শর্তাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করে ছাড় করা অর্থে শিশুখাদ্য কিনে বিতরণ করবেন এবং নিরীক্ষার জন্য হিসাব সংরক্ষণ করবেন।