দেশের সম্ভাব্য খাতের সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরে বিদেশী বিনিয়োগের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করাই এর মূল লক্ষ্য।
সরাসরি ও ভার্চুয়াল, দুইভাবে এ সম্মেলনে যুক্ত হবেন অংশগ্রহণকারীরা। সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেষ দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এছাড়াও অংশ নেবেন খাতসংশ্লিষ্ট দেশী-বিদেশী অতিথিরা।
দুইদিনের সম্মেলনে প্রতিদিনই একটি সেশন থাকবে, যেখানে ১১টি সম্ভাব্য খাতের সম্ভাবনাগুলো নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞরা বিশ্লেষণ করবেন। দ্বিতীয় দিনে একটি টেকনিক্যাল সেশনও থাকবে। সংশ্লিষ্ট সেক্টরের মন্ত্রী ও পরামর্শকরা এতে মূল বক্তব্যগুলো তুলে ধরবেন। সেখানে এসব খাতে বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আইআইএস ২০২১-এর মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে সবচেয়ে লাভজনক বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে পরিচিত করা। দুইদিনের সম্মেলনে বাংলাদেশকে বেসরকারি বিনিয়োগ ও সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের (এফডিআই) জন্য একটি আদর্শ ক্ষেত্র হিসেবে তুলে ধরা হবে।
এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য থাকবে নীতি পরিবর্তনের অগ্রগতি প্রদর্শন ও বেসরকারি খাতের ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত, পরিকল্পিত বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বরাদ্দ রাখা জমি বা ইপিজেডের মতো ক্ষেত্র, পার্ক ও পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের প্রস্তুতি প্রদর্শন, বিনিয়োগকারীদের কাছে বড় ও বর্ধনশীল বিনিয়োগ বাজার তুলে ধরা। কভিড-১৯ মহামারীর প্রতিকূলতার পরও অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা ও দ্রুত পুনরুদ্ধার প্রদর্শন করা। এছাড়া সম্ভাব্য বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতিতে সরকার কী পরিমাণ সমর্থন দিচ্ছে সেটিও জানানো হবে।
সম্মেলন সম্পর্কে বিডা বলছে, গোল্ডম্যান স্যাকস বাংলাদেশকে পরবর্তী ১১টি উদীয়মান অর্থনীতির একটি হিসেবেই চিহ্নিত করেছে। ২০১৯ অর্থবছরে বেশ প্রশংসনীয় হারে দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধি পায়। সে সময় হারটা ছিল ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। করোনা মহামারীর মধ্যেও ২০২০ অর্থবছরে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয় ৩ দশমিক ৫১ আর ২০২১ অর্থবছরে হয় ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ২০২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য বাংলাদেশের। বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনাও বেশি। স্থিতিস্থাপক অর্থনীতি ও সমাজ হিসেবে নিজেকে প্রদর্শনও করতে চেষ্টা করছে দেশটি। সরকারও নানা সুবিধা উপভোগের জন্য বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ সম্মেলন।
বিডার আয়োজনে এই সম্মেলনে সহযোগী হিসেবে থাকবে বেজা, বেপজা, পিপিপিএ, বিএইচটিপিএ। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন ও ইউকেএইডের সহায়তায় সম্পন্ন হবে এ সম্মেলন।