করোনা নিয়ে মানুষের এমন সব ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে দিতে টিভি চ্যানেল২৪- এর মুখোমুখি হয়েছিলেন চিকিৎসক ডা. জাহিদুল হক রুশো। অর্থসংবাদ এর পাঠকদের জন্য সেই সাক্ষাৎকারটি অংশ বিশেষ তুলে ধরা হলো।
সুযোগ পেলে প্রকৃতিও ফেরে। স্বরূপে প্রকৃতির এই ফেরা তাই যেন জানিয়ে দেয়— এই শহরে নেই দূষণ, নেই অনিয়ম-অত্যাচার। ঠিক তেমনই করোনা মানেই মৃত্যু নয়। সঠিক সময়ে, চিকিৎসা ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন-যাপনে কোভিড ১৯ আক্রান্তরাও ফিরে আসে।
ডা. জাহিদুল হক রুশো তাদেরই একজন। তার শ্বশুর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ডা. রুশোর পরিবারের সব সদস্যের। রিপোর্টে জানা যায় তিনি এবং বাড়ির এক গৃহপরিচারিকা করোনা আক্রান্ত। যদিও শনাক্ত হওয়ার আগে ও পরে কোনও লক্ষণ ছিল না তার।
২৪ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা চলে ডা. রুশোর। পরপর দুটো পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসায় হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেন তিনি। ১৪ দিনের আইসোলেশনে থাকার সময়ও এখন শেষ পর্যায়ে।
এই ভাইরোলজিস্টও বলছেন, দেশে এমন ৩০ শতাংশ রোগী আছে যাদের শরীরে করোনার কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। তাই এই বিশেষজ্ঞর পরামর্শ, এ ধরনের রোগী শনাক্তে যত দ্রুত সম্ভব দেশে অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু করা।