দেশব্যাপী লকডাউনের জেরে কোম্পানিটির সিমেন্ট বিক্রি ব্যাপক হারে কমে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে কারখানার স্থায়ী শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রাণঘাতী ভাইরাস ঠেকাতে ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের এক নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারিতে রূপ নিয়েছে। শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সিমেন্ট বিক্রয় আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানির ব্যবসা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে এবং কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ বর্হিভূত হওয়ার কারণে বাংলাদেশের শ্রম আইন মোতাবেক ১২ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রধান কার্যালয়ের কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
কাজ বন্ধ রাখার সময় তিনদিনের বেশি হওয়ায় শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বাংলাদেশের শ্রমআইন মোতাবেক লে-অফ করা হলো।
যেসব শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের চাকরির মেয়াদ এক বছরের বেশি হয়েছে, তাদের শ্রমআইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে লে-অফের মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন হলে তা নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।