শনিবার বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সংগঠন বিজিএমইএ এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা পরিশোধে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্যাকেজ থেকে উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ পণ্য রফতানি করছে এমন সচল প্রতিষ্ঠান সুদবিহীন সর্বোচ্চ দুই শতাংশ হারে সার্ভিসচার্জ দিয়ে ঋণ নিতে পারবে।
তবে এ ঋণ দিয়ে শুধুমাত্র শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে। কোনোভাবেই কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা প্রদান করা যাবে না। একইসঙ্গে এ বেতন সরাসরি শ্রমিকের ব্যাংক বা মোবাইল অ্যাকাউন্টে দিতে হবে। নগদ টাকা প্রদান করা যাবে না।
এ প্রেক্ষিতে গত ৬ এপ্রিল এ ঋণ সুবিধা নিতে চায় এমন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ২০ এপ্রিলের মধ্যে মোবাইল অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য শ্রমিক-কর্মচারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজন হচ্ছে। তবে এই হিসাব খোলার জন্য কোনো ধরনের চার্জ বা ফি কাটা হচ্ছে না।
সরকার ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা এবং বেতন-ভাতাদি মোবাইলে পৌঁছাতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে শ্রমিকরা ঘরে বসেই নিজ নিজ মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টেই বেতন-ভাতা পাবেন। এরপর থেকে যেসব পোশাক শ্রমিকের ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের হিসাব নেই তাদের বেতন-ভাতা দিতেই নতুন অ্যাকাউন্ট খুলছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
বিজিএমইএর সবশেষ তথ্যে দেখা যায়, প্রণোদনার অর্থ পেতে এখন পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ১৯ লাখ ২০ হাজার অ্যাকাউন্ট খুলেছে পোশাক শ্রমিকরা। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত বিকাশে ৯ লাখ ৭০ হাজার হিসাব, রকেটে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার এবং ডাক বিভাগের 'নগদ' এ অ্যাকাউন্ট খুলেছেন চার লাখ শ্রমিক।
যাদের এখনো হিসাব খোলা হয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেয়া নির্দিষ্ট সময়েই বাকি কারখানা শ্রমিকের ব্যাংক হিসাব বা মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব খোলার কাজ শেষ হবে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বেতনের অর্থ শ্রমিক-কর্মচারীর ব্যাংক হিসাবে লেনদেন করতে হবে।
কোনো প্রকার নগদ লেনদেন করা যাবে না। যেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ব্যাংক হিসাব নেই তাদের মালিক নিজ উদ্যোগে ব্যাংক হিসাব খুলে দেবেন।