জানা যায়, এ পুনর্নিয়োগ গত নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। সেলিম হোসেন ২০১৫ সালের নভেম্বরে এমডি অ্যান্ড সিইও হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংকের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে দু’টি তিন-বছরের মেয়াদ সম্পন্ন করেছেন। তিনি গত ছয় বছরে ব্র্যাক ব্যাংক-কে মধ্যম সারির ব্যাংক থেকে ব্যাংকিং খাতের শীর্ষস্থানীয় অবস্থানে নিয়ে গেছেন। ব্র্যাক ব্যাংক-কে বাংলাদেশের আর্থিক খাতে অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দৃঢ় ও মজবুত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
এছাড়াও সবচেয়ে বেশি মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন, ব্যাংকিং খাতে মধ্যে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারহোল্ডিং এবং আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা এসঅ্যান্ডপি ও মুডি’জ থেকে প্রাপ্ত দেশের সব ব্যাংক থেকে উৎকৃষ্ট ক্রেডিট রেটিং ব্র্যাক ব্যাংকের উচ্চমানের ব্যবস্থাপনা ও কর্মদক্ষতার প্রতিফলন বহন করে। প্রায় সব আর্থিক সূচক ও মানদন্ডে ব্র্যাক ব্যাংক অন্য সব লোকাল ব্যাংক থেকে এগিয়ে আছে। এছাড়া সুশাসন ও মূল্যবোধ ভিত্তিক ব্যাংকিংয়ে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সেলিম হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাকাউন্টিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ (মেজর ইন ফাইন্যান্স) ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১০ সালে আইডিএলসি’তে যোগদানের পূর্বে তিনি বাংলাদেশের দু’টি বৃহত্তম বহুজাতিক ব্যাংক এএনজেড গ্রিন্ডলেইজ ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ২৪ বছর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ২০১৫ সালে ব্র্যাক ব্যাংককে যোগদানের পূর্বে তিনি ছয় বছর আইডিএলসি’র নেতৃত্ব দেন।
এ পুনর্নিয়োগ সম্পর্কে সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “পুনরায় নিয়োগ করে আমাকে সম্মানিত করা জন্য আমি ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বোর্ড অব ডিরেক্টসকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। ব্র্যাক ব্যাংকের মেধাবী ও নিবেদিতপ্রাণ টিমের সাথে এ সমৃদ্ধির পথচলা অব্যাহত রাখার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। একসাথে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ব্র্যাক ব্যাংক-কে মার্কেট শেয়ারে সুউচ্চতর স্থানে নিয়ে যেতে সংকল্পবদ্ধ। একই সাথে আমাদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ, কেসিএমজি এর আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও মূল্যবোধ ভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রমের লালিত স্বপ্ন ধারণ ও পালন করে এগিয়ে নিতে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”