বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
ইসলাম ধর্মে নারীদের সমান অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারপরও আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের বাধা আসে। তবুও এগিয়ে যেতে হবে। একবার সামনে এগিয়ে যেতে পারলে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।’
নারীদের জন্য সরকারের নানান উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর নারীদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে ৬০ ভাগ নারী নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি, যেখানে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে নীতিমালা করা হয়েছে, যেন একজন নারী ও একজন পুরুষ উদ্যোক্তা সেখানে থাকেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পে যেসব পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়েছে, তাদের মাঝে যদি কখনো বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাহলে সেই ঘরের মালিকানা পাবে পরিবারের নারী সদস্য। এভাবেই নারীদের অগ্রগতিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তৃতীয় লিঙ্গ এবং প্রতিবন্ধীদের চাকরি দিলে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হবে। এক সময় অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম নিলে বাবা-মা তাদের লুকিয়ে রাখতো। ঠিক একইভাবে হিজড়া সম্প্রদায় এক সময় খুব অবহেলিত ছিল। হিজড়া সন্তান হলে বাবা-মা তাকে ফেলে দিতো। আমরা সংবিধানে ও সমাজে তাদের স্থান করে দিয়েছি। কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা শিল্প কারখানা যদি তৃতীয় লিঙ্গ কিংবা প্রতিবন্ধীদের চাকরি দেয়, তাদের বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বয়স্ক, বিধবা ভাতার পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ভাতাও দিচ্ছি। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু, যারা শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই, সমাজের কেউ যেন অবহেলিত না থাকে। কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে।’