বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আফনান সুমির আদালতে এ মামলা করেন তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১০ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে সমন জারি করেন। মামলার বাদী তোফাজ্জল হোসেনের আইনজীবী মিয়া হোসেন গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের (ইভ্যালি ডটকম) মাধ্যমে দেখতে পেয়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ঊনপঞ্চাশ হাজার ছয়শত পয়ঁত্রিশ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের অর্ডার করেন বাদী। বাদীকে মোটর সাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা বাদীকে প্রদান করবেন। আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ২৮ জুন দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে বাদী বরাবর ইস্যু করেন। ব্যাংকে টাকা উত্তলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়।
উল্লেখ্য, ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালির এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে এ দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলা করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রহকরা। তাদের একাধিকবার রিমান্ডেও নেওয়া হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে আটক রয়েছেন।