চিঠিতে বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ধারা ২৬এ অনুযায়ী ব্যাংকের সকল প্রকার বিনিয়োগ যেমন, শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার এবং মিউচুয়াল ফান্ডসহ শেয়ারবাজারে অন্যঅন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মার্কেট ভ্যালু অনুযায়ী এক্সপোজার লিমিট ধরা হয়। বাজারের অবস্থা যখন ভালো হয় তখন ব্যাংক খাতের এসব কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে এক্সপোজার সামঞ্জস্য করে। এসময় প্রচুর শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ে। এর ফলে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়া শুরু করে। তখন ব্যাংক ও অর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্বল্প মেয়াদী বিনিয়োগের দিকে বেশি ঝোকে। তাই দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কস্ট প্রাইস হিসেবে এক্সপোজার লিমিট গননা করা উচিত। এছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বন্ডে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বন্ড এক্সপোজার লিমিটের বাহিরে রাখতে হবে। সরকারি দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনায় নিয়ে বন্ড মার্কেট বৃদ্ধিতে এক্সপোজারের বিষয়টি বাদ দিতে হবে। এছাড় দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ বাড়াতে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা দূর করারও পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
আইন অনুযায়ী, মার্চেন্ট ব্যাংক কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়। তবে এসব ব্যাংকগুলোকে শেয়ারবাজারের অন্যঅন্য প্রতিষ্ঠানের মতো ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। মার্চেন্ট ব্যাংকিং শিল্প এখনও বিকাশের পর্যায়ে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সুযোগ খুবই সীমিত বলেও দাবি করেন বিএমবিএ।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে শক্তিশালি অবস্থানে দাড়িয়েছে শেয়ারবাজার। এছাড়া বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারকে প্রাণবন্ত করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ ও পরিশ্রম করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়।