নওগাঁ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক এ কে এম মুরশেদ বলেন, সাতটি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন এখন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
স্থানীয়রা জানান, প্লাস্টিক কারখানায় ওয়ানটাইম প্লেট সামগ্রি তৈরি হতো। প্রতিদিনের মতো শ্রমিকরা সকাল থেকে সেখানে কাজ করছিলেন। হঠাৎ করেই কারখানার এক কর্নারে আগুনের সূত্রপাত হলে শ্রমিকরা ভয়ে বেরিয়ে যান। পরে ফায়ার সার্ভিস নওগাঁ, আত্রাই, রানীনগর, আদমদীঘি ও দুপচাচিয়ার সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়।
কারখানার মালিক সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্ট বলেন, সকাল থেকেই কারখানায় কাজ হচ্ছিল। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা বলতে পারছি না। খবর পেয়ে কারখানায় আসি। কারখানায় ওয়ানটাইম প্লেট সামগ্রি তৈরি করা হতো। আগুনে কারখানার কাঁচামাল পুড়ে গেছে। প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি।
তবে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক এ কে এম মুরশেদ বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এলে কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের এডি আব্দুল মালেক বলেন, কারখানার ভেতর থেকে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া পাঁচ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দীন জানান, নিহত পাঁচ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।