দেশের শীর্ষ চিকিৎসা গবেষণা সংগঠন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) বিজ্ঞানী রামন আর গঙ্গাখেড়কর এনডিটিভিকে এক সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেছেন।
তিরামন আর গঙ্গাখেড়কর বলেছেন, দেশে ৮০ শতাংশ আক্রান্তের শরীরেই হাঁচি, কাশি, সর্দি, জ্বর, গলাব্যথার মতো কোনো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না।
এই প্রবণতাকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘এসিম্পটোমেটিক’ বা উপসর্গহীন, যেখানে রোগের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, এই রোগীদের শনাক্ত করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁদের খুঁজে বের করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
ভারতের মতো জনবহুল দেশে এই অবস্থা যথেষ্ট উদ্বেগের। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত রোববার জানান, রাজধানী-রাজ্যে সম্প্রতি ৭৩৬ জনের লালা পরীক্ষা হয়।
তাঁদের মধ্যে ১৮৬ জনের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস ধরা পড়ে। এঁদের কারও মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। কেউ টেরও পাননি।
বিজ্ঞানী রামন গঙ্গাখেড়কর বলেন, ওই সংক্রামিত ব্যক্তিরা যাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের জনে জনে পরীক্ষা করা ছাড়া গতি নেই।
এই দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ সত্ত্বেও বিজ্ঞানী গঙ্গাখেড়কর আশাবাদী। এনডিটিভিকে তিনি বলেছেন, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হবে। দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অবস্থা ধীরে ধীরে বদলাবে। ওই সময়ের মধ্যে কোনো একটা উপায়ের খোঁজ পাওয়া যাবে বলে তাঁর ধারণা।
সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন অংশে প্রধানত গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রাণসঞ্চারের জন্য নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হয়। কাকতালীয়ভাবে যেদিন থেকে ওই শিথিলতা, সেদিনই দেশে সবচেয়ে বেশি মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হন দেড় হাজারেরও বেশি।
কিন্তু এরই মধ্যে সরকারিভাবে দাবি জানানো হয়, লকডাউনের সুফলও মিলতে শুরু করেছে। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা এখন দ্বিগুণ হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ দিনে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তা লাভ আগরওয়াল সোমবার বলেন, গত এক সপ্তাহের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, আগে যেখানে ৩ দশমিক ৪ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছিল, তা দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫ দিনে।