মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের নিকট থেকে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রশংসাপত্র গ্রহণ করেন ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ অপারেটিং অফিসার মো: সাব্বির হোসেন।
করোনা ভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ও ব্যবসায় পরিবেশ পুনরুজ্জীবিতকরণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সুষ্টি করতে কুটির শিল্পসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য স্বল্প সুদে বিশ হাজার কোটি একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। এ প্রণোদনার প্যাকেজের আওতায় এপ্রিল ২০২০-জুন ২০২১ সময়কালে ১,৫০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে ব্র্যাক ব্যাংক, যা ব্যাংকিং খাতে সর্বোচ্চ।
উল্লেখ্য, প্রণোদনার দ্বিতীয় পর্যায়ে জুলাই ২০২১-জুন ২০২২ সময়ের জন্য নির্ধারিত ১,৪০০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ইতোমধ্যেই ৮৯৩ কোটি টাকা বিতরণ সম্পন্ন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
করোনার কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের ব্যবসায়ের মন্দাবস্থা কাটিয়ে ওঠতে তাদের সাহায্য করতে স্বপ্রণোদিতভাবে এগিয়ে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক। সুদের হারে ভতুর্কিসহ এই ঋণ সুবিধা উদ্যোক্তাদেরকে মহামারীর ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে সাহায্য করছে। মহামারীর ভয়াবহ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠে সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করছে এই সহজ ঋণ সুবিধা।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে জামানতবিহীন ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে আছে ব্র্যাক ব্যাংক। দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি সিএমএসএমই খাতের প্রসার ও অগ্রগতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্র্যাক ব্যাংক। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখে গুরুত্বপূর্ণ এ খাত। বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ও বৃহৎ টিমের কারণে এই সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণ সম্পন্ন করতে পেরেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের এ স্বীকৃতির প্রেক্ষিতে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংক এর উপর আস্থা রেখে টার্গেটের অতিরিক্ত ঋণ বিতরণের দায়িত্ব দেওয়ায় আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক-কে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকনির্দেশনা ও নীতি সহায়তা এই টার্গেট পূরণের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রান্তিক ও তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহজ অর্থায়ন নিশ্চিত করতে ব্র্যাক ব্যাংক দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। করোনা মহামারীর প্রেক্ষিতে উদ্যোক্তাদের সহায়তায় আমরা আমাদের কার্যক্রম আরও জোরদার করেছি। আমরা মনে করি, ভর্তুকিসহ ঋণ বিতরণের ফলে সিএমএসএমই খাতে প্রাণ ফিরে আসবে এবং উৎপাদনক্ষমতা মহামারী পূর্বের পর্যায়ে ফিরে যাবে।”