শনিবার (১ জানুয়ারি) ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বাসভবন ঘুরে দেখেন প্রধান বিচারপতি।
এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমার মনে হয় ৭৫ এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে বটে, তিনি শাহাদাত বরণ করেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন মানুষের মধ্যে এবং বাংলার আনাচে কানাচে আমরা বঙ্গবন্ধুকে অনুভব করি। মৃত বঙ্গবন্ধু এখন জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে ১৫ আগস্টে আমরা সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠান করেছি। প্রত্যেকটা বিচারপতি উনাকে (বঙ্গবন্ধু) শ্রদ্ধা নিবেদন করে কথা বলেছেন। এখান থেকে আমার মনে হয় জীবিত বঙ্গবন্ধুর থেকে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক অনেক অনেক বেশি শক্তিশালী। যারা বঙ্গবন্ধুকে মারতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু মরেননি, আমাদের মনে জীবিত আছেন।
এর আগে ৩০ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
২০১৩ সালের ২৮ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী কুষ্টিয়ার সন্তান। তিনি জেলার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম আব্দুল গফুর মোল্লা। তিনি ১৯৭২ সালে খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরার সরকারি পিসি কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। বিএ পাস করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে। এমএ পাস করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। এলএলবি পাস করেন ধানমন্ডী ‘ল’ কলেজ থেকে। ১৯৮১ সালে ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় যোগদান করেন। ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৮ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
২০০১ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৯ সালে হাইকোর্ট ডিভিশনে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। তার আরেক ভাই বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। কয়েক মাস আগে তিনি অবসরে গেছেন।