মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্যসচিব বরাবর এ-সংক্রান্ত চিঠি দেন বিজিবিএর সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসাইন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনার কারণে প্রায় এক মাস ধরে লকডাউনের কারণে গার্মেন্ট বায়িং হাউস ও পোশাক কারখানার কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে লাখ লাখ পোশাক শ্রমিক ও কর্মকর্তারা প্রায় বেকার। বায়িং হাউজ ও ট্রেডিং ব্যবসায়ীদের জীবন-জীবিকা অনিশ্চয়তার মুখোমুখি।
সংগঠনটি দাবি করেছে, পোশাক খাতের প্রতিযোগী দেশগুলো ক্রমশ ব্যবসা খুলে দিচ্ছে। তাছাড়া বিশ্বব্যাপী কিছু পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের পোশাক খাতের যে সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে সেটি অব্যাহত না রাখা হলে প্রতিযোগী দেশগুলোতে এই ব্যবসা স্থানান্তরের হুমকি রয়েছে। একবার সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পুনরায় তা প্রতিস্থাপন করা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
এদিকে লাখ লাখ শ্রমিক এবং মালিকদের নিরাপদ জীবন-জীবিকা ও দেশের প্রধান রফতানি খাতের ব্যবসা ধরে রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে পোশাক খাতের কর্মকাণ্ড ও সংশ্লিষ্ট যানবাহন সীমিত আকারে চালু করা যায়, সে বিষয়ে পরিকল্পনা নেয়া উচিত বলেছে সংগঠনটি।