বুধবার ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরীয় দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চে বিদেশি কর্মী নেওয়া স্থগিত করে এবং গত মাস থেকে প্রবাসী কর্মী নেওয়া আবারও শুরু করেছে। পুনরায় চালু হওয়ার পর এ পর্যন্ত মোট ২০৩ জন বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মী কোরিয়ায় গেছেন। গত ডিসেম্বরে কোরিয়ায় ১১১ জন বাংলাদেশি শ্রমিক গেছেন। এবারের যাওয়া ৯২ জনের মধ্যে ৪৪ কর্মী নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত এবং বাকিরা আগেই গিয়েছিলেন।
কোরিয়া ইপিএস (এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম) প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে মাঝারি ও নিম্ন-দক্ষ বিদেশি কর্মী গ্রহণ করে আসছে। বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-গুন বলেন, বাংলাদেশের ইপিএস কর্মীরা কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন যা শুধু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, কোরিয়ান শিল্পে শ্রমশক্তি সরবরাহেও অবদান রেখেছে। তিনি আশা করেন যে কোরিয়া আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি ইপিএস কর্মীকে স্থান দিতে সক্ষম হবে। এ পর্যন্ত ইপিএস পদ্ধতিতে ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়ায় গেছেন।