বিষয়টি হলো, গত বৃহস্পতিবার বার্কশায়ার হাথাওয়ের শেয়ারের দাম ১ শতাংশ বেড়েছে। এ নিয়ে টানা চার দিন কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ে। বাফেটের কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার কারণ হলো, বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ জায়গায় বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন। অনিশ্চয়তা আছে বা প্রবৃদ্ধির হার অনেক বেশি, এমন কোম্পানির শেয়ারে মানুষ তেমন আগ্রহী হচ্ছেন না। সেই বিবেচনায় বার্কশায়ার হাথাওয়ে আদর্শস্থানীয় কোম্পানি।
২০২২ সালের প্রথম সপ্তাহে বার্কশায়ারের বি শ্রেণির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি। এ মুহূর্তে শেয়ারের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এসব কারণে কোম্পানির বাজারমূল্য ৭০০ বিলিয়ন ডলার বা ৭০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
ওয়ারেন বাফেট ওরাকল অব ওমাহা নামে খ্যাত। তাঁর প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি বার্কশায়ার এ পর্যন্ত ৬০টির বেশি কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে, যার মধ্যে আছে ডিউরোসেল, গেইকো ইত্যাদি।
এভাবে এগোতে থাকলে বার্কশায়ার শিগগিরই ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হবে। তখন তারা টেসলা, আমাজন, মাইক্রোসফট ও অ্যাপলের কাতারে উঠে যাবে।
এদিকে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ চলতি বছর মহামারিরজনিত বিভিন্ন প্রণোদনার রাশ টেনে ধরবে বলে শোনা গেছে। এমনকি নীতি সুদহার আরও কয়েক দফায় বাড়ানো হবে, এমন কথাও শোনা গেছে। তবে এর মধ্যেও বার্কশায়ারের মতো কোম্পানি লাভবান হবে বলেই বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। গত বছর তাদের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাব অনুযায়ী, ওয়ারেন বাফেট এখন বিশ্বের অষ্টম শীর্ষ ধনী। নিট সম্পদের সিংহভাগ দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করে দিয়েছেন বাফেট। তা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার তাঁর সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪০ কোটি ডলার।