নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সাকিব জানিয়েছেন, বিষয়টা নিয়ে দেরিতে কথা বলার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। নিজের ফান্ড থেকে সব বকেয়া পরিশোধ করবেন বলেও জানিয়েছেন তারকা এই অলরাউন্ডার।
স্ট্যাটাসে সাকিব লিখেছেন, “বিলম্বের জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী কিন্তু এই সময়টাতে আমি সব তথ্য সংগ্রহ করছিলাম যেন আপনাদের কাছে সত্যটা পৌঁছে দিতে পারি। যদিও আমার সঙ্গে খামারটির নাম সরাসরি জড়িত, পেশাদার কাজের (ক্রিকেট) ব্যস্ততার জন্য আমার অন্যান্য সংস্থাগুলোর মতো এটাও আমার ব্যবসায়ের সহযোগীর দ্বারা পরিচালিত হয়। এসবের নিয়মিত সভা কিংবা অফিসে যাওয়া আমার খুব একটা হয়ই না।”
“আপনারা জানেন, দ্বিতীয় সন্তানের অপেক্ষায় থাকায় অনেক দিন ধরেই আমরা বাংলাদেশের বাইরে আছি। তাই এই খামারের ব্যাপারে আমি এত দিন কিছুই জানতাম না, কর্মীরা বিক্ষোভ করার আগে পর্যন্ত। গণমাধ্যমের সংবাদ থেকেই জেনেছি।”
“….আমি যখনই এই ব্যাপারটা সম্পর্কে জানতে পেরেছি, নিজে দায়িত্ব নিয়ে সমাধানে এগিয়ে এসেছি। আমি ঠিক করেছি সংস্থার ফান্ড বা কোনো সহযোগীর থেকে নয়, আমি আমার নিজের ফান্ড থেকেই সবার বকেয়া বেতন পরিশোধ করে দেব।”
বিষয়টা না জানিয়ে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করায় বিস্মিত হয়েছেন বলে জানালেন সাকিব। এ ব্যাপারে বর্তমান করোনা সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এটা একটা সংস্থার অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমি বিস্মিত হয়েছি কর্মীদের এ রকম আচরণে। এই সময়ে আমি আরেকটা ফাউন্ডেশন নিয়ে কাজ করছি তাদের মতো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই। তাহলে মানুষ কীভাবে মনে করে যে আমি তাদের ন্যায্য বেতন থেকে বঞ্চিত করব যাদেরকে গত ৩ বছর ধরে নিয়মিত বেতন দেওয়া হচ্ছে।”