ফিলিপাইনের কালুকান সিটি জেলে মঙ্গলবার এ দাঙ্গা হয়। দাঙ্গায় কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। আর কোন ঘটনা থেকে দাঙ্গার সূত্রপাত তা নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, প্রথমে দুই বন্দির মধ্যে মারামারি হয়, পরে এতে অন্যরা যোগ দেন।
কারাগার সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, মহামারির শুরু থেকে কারাগারে বন্দিদের স্বজনদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দাঙ্গার সঙ্গে এ বিষয়টার একটা সম্পর্ক থাকতে পারে।
তিনি বলেন, প্রায় দু বছর হলো কারাগারে বন্দিদের স্বজনদের পরিদর্শনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দাঙ্গার কারণের মধ্যে এ বিষয়টাকেও সন্দেহ করা হচ্ছে।
বর্তমানে ওই কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ফিলিপাইনের কারাগারগুলোতে প্রায়ই এমন দাঙ্গার কথা শোনা যায়। দেশটির কারাগারগুলোতে বন্দির সংখ্যা ধারণক্ষমতার চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। এছাড়া অবকাঠামোগত অন্যান্য অসুবিধাও রয়েছে সেখানে।
কালাকুন সিটির এ কারাগারে প্রায় ১৯০০ বন্দি ছিলেন। তবে সেখানে থাকার কথা ২০০-এর কম।
জানুয়ারির ২ তারিখে ফিলিপাইনের রাজধানীর একটি কারাগারে দাঙ্গায় ৩ জন নিহত হয়েছিলেন ও ১৪ জন আহত হন। দেশটির সবচেয়ে বড় ওই কারাগারে দাঙ্গায় বন্দুক ও ধারাল অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।