সিএনবিসি’র এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, মার্কিন ভোক্তা মূল্য সূচক গত এক বছরের তুলনায় ডিসেম্বর মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে ৭ শতাংশ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ আমেরিকাতে গত এক বছরে মূল্যস্ফীতি এতো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে যে ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ফেডের চেয়ারম্যান জেরেম পাওয়েল বলেছেন যে, আমেরিকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন করার জন্য একটি ভালো ও কঠোর আর্থিক নীতির প্রয়োজন। যদি আমরা এমন উদ্যোগ গ্রহন করতে পারি তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন, বিলাসবহুল সম্পদ ক্রয় হ্রাস এবং ছোট ব্যালেন্স তৈরীতে সহযোগিতা করবে।
এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্যান-ইউরোপিয়ান শেয়ারের স্টক ইনডেক্স বৃদ্ধি পেয়েছে ৬০০ যা প্রায় ০.৭ শতাংশ। এবং দিন শেষে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৩.২ শতাংশ। তবে স্বাস্থ্যসেবা খাতের শেয়ারের দাম কমেছে ০.৭ শতাংশ।
ফরাসী বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রেক্সেল তার ২০২১ সালের আর্থিক বিবরণিতে বলছে যে, তাদের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০.৩ শতাংশ যা প্যান-ইউরোপিয়ান শেয়ারের স্টক ইনডেক্স ৬০০ বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভাবে সহযোগিতা করেছে।
ইউরোপীয় ব্লুচিপ এর সূচক হ্রাস পেয়ে তলানিতে পৌছেছে। তবে ডাচ হেলথ টেক জায়ান্ট কোম্পানি ফিলিপস এর চতুর্থ ত্রৈমাসিকে রিপোর্ট প্রকাশ করার পর কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৫.৫ শতাংশ।
গতকাল বিশ্বের অধিকাংশ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারির চোখ স্থির ছিল আমেরিকার মূল্যস্ফীতি এবং ফেডের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।
এদিকে ডিসেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ইউরোপের পুঁজিবাজারের সাথে মার্কিন পুঁজিবাজারে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
এশিয়া-প্যাসিফিক জুড়ে গতকাল চীনের বাজারে অধিকাংশ শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এশিয়ার বাজার নিয়ে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায় গত বছরের তুলনায় ডিসেম্বরে চীনের শেয়ার বাজারের সুচক বেড়েছে ১.৫ শতাংশ।