গাম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল দাউদা জালো বলেছেন, ‘ ২০২২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি হাইব্রিড শুনানি শুরু হতে যাচ্ছে।’
তিনি জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে অং সান সু চি মামলার প্রথম গণশুনানিতে মিয়ানমারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু সামরিক বাহিনী তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। তাই সামরিক বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলায় তার প্রতিনিধি হিসাবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, হাইব্রিড শুনানি হচ্ছে, যেখানে মামলার পক্ষদের একটি অংশ সরাসরি আদালতে হাজির থাকে এবং একটি অংশ করোনা মহামারির কারণে অনলাইনে অংশ নেয়।
২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদ করতে নিধন অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। প্রাণে বাঁচতে সাত লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ওই সময় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে জাতিসংঘের তদন্ত দল তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ‘গণহত্যার উদ্দেশে’ সেনাবাহিনী এই অভিযান চালিয়েছিল। ২০১৯ সালে মিয়ানমারের তৎকালীন নেতা অং সান সুচি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন এবং তিনি অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে মামলার খারিজ চেয়েছিলেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, ২১শে ফেব্রুয়ারি যে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে তাতে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারিক এখতিয়ার নিয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হবে। এই বিষয়টি নিস্পত্তি সাপেক্ষে পরবর্তীতে গণহত্যার ব্যাপারে শুনানি হবে।