উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন এফসিএ, এফসিএমএ, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলায়মান, এফসিএ, পরিচালক প্রফেসর মো. কামাল উদ্দিন, পিএইচডি, মো. জয়নাল আবেদীন, প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল আলম, সৈয়দ আবু আসাদ, ডা. তানভীর আহমেদ, মো. কামরুল হাসান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর, প্রফেসর ড. মো. ফসিউল আলম, খুরশীদ উল আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, এফসিএমএ ও মো. কামাল হোসেন গাজী বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী এবং ধন্যবাদ জানান অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান।
ব্যাংকের শরীয়াহ্ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদসহ ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, ঢাকার চারটি জোনের প্রধান এবং দেশব্যাপী ১১টি ভেনুতে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অন্যান্য জোনপ্রধান ও ৩৮৪টি শাখার ব্যবস্থাপকরা সম্মেলনে অংশ নেন।
সম্মেলনে জানানো হয়, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা। যা গত বছরের তুলনায় ২০ হাজার কোটি টাকা বেশি। একই সময়ে সাধারণ বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা যা গত বছরের তুলনায় ১৭ হাজার কোটি টাকা বেশি।
২০২১ সালে ইসলামী ব্যাংক আমদানি, রপ্তানি বাণিজ্য ও রেমিট্যান্স আহরণ করেছে যথাক্রমে ৬৪ হাজার ৫৩০ কোটি, ৩০ হাজার ১৭৮ কোটি এবং ৫০ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা। ইসলামী ব্যাংক এখন ৩৮৪টি শাখা, ২১৯টি উপশাখা, ২৬৭৮টি এজেন্ট আউটলেট, ২৩১৮টি এটিএম/সিআরএম বুথের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা দিয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান বলেন, ইসলামী ব্যাংক ২০২১ সালে পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। মানসম্পন্ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে অভিযোজিত হয়ে আধুনিক প্রযুক্তিতে শক্তিশালী হয়ে কাজ করতে হবে। ব্যাংকের সেলফিন অ্যাপ ও কার্ডভিত্তিক সেবা, পিওএস মেশিন, এমক্যাশ, আই-ব্যাংকিংসহ অন্যান্য প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সেবার প্রসারে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে নির্দেশনা দেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৪১তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, যা ২০৩৬ সালে ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতায় নানান চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে ইসলামী ব্যাংক ব্যবসায়ের সব সূচকে ভালো করেছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের বিনিয়োগ বিতরণে ইসলমী ব্যাংক ব্যাংকিং খাতের শীর্ষে। ব্যাংকের সমৃদ্ধি ও সাফল্যে নিরন্তর সহযোগিতা অব্যাহত রাখায় সরকারের বিভিন্ন বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ সব নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও গ্রাহক-শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, জনগণের আস্থা, শরীয়াহের শক্তি, উন্নত ও আন্তরিক সেবার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক দেশীয় স্বীকৃতি ও গণ্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে খ্যাতি অর্জন করছে। ব্যাংকের এই অবস্থান সমুন্নত রাখতে ব্যবসা পরিচালনায় মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ও ফাইন্যান্সিয়াল টেকনোলোজির উত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে সাসটেইনেবল বিজনেস রিলেশনশিপ গড়ে তুলতে হবে।