বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভূত করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজকে এবং মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজকে ছুটিকালীন সময়ে তার সুবিধামতো প্রতি সপ্তাহে যে কোনও দুই দিন কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরি জামিন শুনানির জন্য সীমিত আকারে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
‘চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা ছুটিকালীন সময়ে তার/তাদের সুবিধামতো প্রতি সপ্তাহে যে কোনও দুই দিন কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরি জামিন শুনানির (কারাগারে থাকা হাজতি আসামির আবেদনসহ) সীমিত আকারে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
এছাড়া ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের গত ১১ এপ্রিলের নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় পুনরায় উল্লেখ করা হচ্ছে যে, যে সকল ফৌজদারি মামলায় আসামিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়েছে বা যেসব মামলায় উচ্চ আদালত হতে অধস্তন আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন দেওয়া হয়েছে বা যেসব মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা/স্থিতাবস্থা/স্থগিতাদেশের আদেশ প্রদান করা হয়েছে, সেসব মামলার আদেশের কার্যকারিতা আদালত নিয়মিতভাবে খোলার তারিখ হতে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ধিত হয়েছে বলে গণ্য হবে। সাধারণ ছুটিকালীন সময়ে ওই মামলাগুলোর বিষয়ে কোনও আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করা হবে না।’
‘একটি মামলার জামিন শুনানিতে কেবলমাত্র একজন আইনজীবী অংশগ্রহণ করবেন। আদালত প্রাঙ্গণে এবং এজলাস কক্ষে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে অনুসরণ করা না হলে আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে। আদালত প্রাঙ্গণে এবং এজলাস কক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে স্ব স্ব আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কার্যকরী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে জেলা ও দায়রা জজ/মহানগর দায়রা জজ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।’
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে জামিন শুনানিকালে কারাগারে থাকা আসামিদের কারাগার হতে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনোভাবে আদালত প্রাঙ্গণে ও এজলাস কক্ষে হাজির না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।