গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমে ৫ দশমিক ১৫ ডলার বা দশমিক ২৯ শতাংশ। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কমেছে ২ দশমিক ২৮ শতাংশ বা ৪০ দশমিক ৮৪ ডলার। এতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৯১ দশমিক ৩৬ ডলার।
স্বর্ণের পাশাপাশি এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে রুপার দামও কমেছে। এক সপ্তাহে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স রুপার দাম দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৪৪ ডলারে। এতে মাসের ব্যবধানে রুপার দাম কমেছে ১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
আরেক দামি ধাতু প্লাটিনামের দাম গত সপ্তাহজুড়ে কমেছে ২ দশমিক ১১ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স প্লাটিনামের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭ দশমিক ৫২ ডলার। এই দাম কমার পরও মাসের ব্যবধানে প্লাটিনামের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
গত এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণ, রুপা ও প্লাটিনামের দাম কমলেও চলতি মাসের প্রথমার্ধে দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। এতে ১ হাজার ৮০০ ডলারের ওপরে ওঠে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম। এমনকি গত সপ্তাহের শুরুর দিকেও স্বর্ণের দাম বাড়তে দেখা যায়। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৫১ ডলার পর্যন্ত ওঠে। তবে এরপর থেকেই কমতে থাকে দাম।
আগে গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে স্বর্ণের দামে বড় পতন হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ ডিসেম্বর দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমিয়ে দেয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এতে বর্তমানে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম হয়েছে ৭৩ হাজার ১৩ টাকা।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৬৯ হাজার ৯৮৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৬১ হাজার ২৩৬ এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫০ হাজার ৯১৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্বর্ণের দাম কমানো হলেও রুপার আগের নির্ধারিত দামই বহাল রাখা হয়। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার মূল্য এক হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম এক হাজার ৪৩৫, ১৮ ক্যারেটের এক হাজার ২২৫ এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ৯৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।