শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘটা দুটি দুর্ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনকে গুরুতর অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের বাঁচামারা এলাকায় মাদারীপুর থেকে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকারকে (ঢাকা মেট্রো-গ ১৩১৪৫৫) পেছন থেকে গ্রামীণ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দেয়। এ সময় প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই মো. খলিল মাতুব্বর (৫৮) নামে মাদারীপুর সদর উপজেলার এক ব্যক্তি নিহত হন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত এসে তাদের উদ্ধার করছিলেন। এ সময় গোপালগঞ্জ থেকে আসা অপর একটি যাত্রীবাহী বাস উদ্ধারকারী স্থানীয়দের ওপর উঠিয়ে দিলে ঘটনাস্থলেই বাঁচামারা এলাকার মোস্তফা শিকদার (৫৮), রোকেয়া বেগম (৪০) ও ভ্যানচালক মো. লিটু (৪০) নিহত হন।
নিহত মো. খলিল মাতুব্বর (৫৮) মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া এলাকার এরশেদ আলীর ছেলে, মোস্তফা শিকদার শিবচর উপজেলার বাঁচামারা ফেলু হাজীর কান্দি গ্রামের এলাল উদ্দিন শিকদারের ছেলে, রোকেয়া বেগম ওই এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম শিকদারের স্ত্রী ও লিটু শিরীফ শিবচর উপজেলার ওহাব শরীফের ছেলে।
গুরুতর আহত হন প্রাইভেটকার চালক আশিকুর রহমান ও তার মা শিরিয়া বেগম। শিরিয়া বেগমকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে ও আশিকুরকে শিবচরের পাচ্চর রয়েল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত চালক আশিকুর বলেন, আমি মাদারীপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম। পেছন থেকে একটি গাড়ি আমাকে মেরে দেয়। পরে আরও একটি গাড়ি আমাদের গাড়ি ও স্থানীয় লোকজনের ওপর উঠিয়ে দিলে তারা মারা যায়।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, প্রাইভেটকারের সঙ্গে গ্রামীণ পরিবহনের বাসের দুর্ঘটনাটি প্রথম ঘটে। স্থানীয়রা উদ্ধার করতে এলে তাদের অন্য একটি বাস চাপা দেয়। গ্রামীন পরিবহনের বাসটি আটক করা হলেও অপর বাসটি আটক করা সম্ভব হয়নি।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দুর্ঘটনায় মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে।