সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ভারতের পার্লামেন্টে বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ডিজিটাল মুদ্রা চালু হলে তা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে ভূমিকা রাখবে। আর তাতে আর্থিক ব্যবস্থাপনার ব্যয়ও কমবে।”
সরকারিভাবে ধাপে ধাপে ডিজিটাল মুদ্রা চালু করার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া আগেই জানিয়েছিল।
জানা যায়, এই সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি বা সিবিডিসি ভারতের প্রচলিত মুদ্রার চেয়ে ভিন্ন কিছু হবে না। পার্থক্য শুধূ এটুকুই, এটা থাকবে ডিজিটাল রূপে, ডিজিটাল ওয়ালেটে। সেই ওয়ালেটের দেখভাল করবে ব্যাংক, মূল তদারিকে হবে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে।
এখন যেভাবে ব্যাংক থেকে নগদ রুপি তোলা বা জমা দেওয়া যায়, সেটাও অব্যাহত থাকবে। তবে কেউ চাইলে তার অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থকে ডিজিটাল রুপিতে বদলে নিতে পারবেন।
ভারত সরকার আশা করছে, এ পদ্ধতিতে নগদ অর্থের ওপর নির্ভরতা কমবে, তাতে খরচও কমে আসবে।
বিটকয়েনের মত ক্রিপ্টোকারেন্সি কোনো দেশের সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিয়ন্ত্রিত হয় না। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে এসব মুদ্রা বৈধও নয়। কোনো কোনো দেশ করের বিনিময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি ভাঙিয়ে প্রচলতি মুদ্রায় বদলে নেওয়ার অনুমতি দিলেও এর ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।