মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘আরটিভি এনআরবিসি ব্যাংক কৃষি পদক-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন আরটিভির চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপি, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ূন কবির বাবলু ও এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের উৎপাদনে দেশ একসময় অনেক পিছিয়ে ছিল। মাছে-ভাতে বাঙালির দেশে একটা সময় মাছের আকাল তৈরি হয়েছিল। একসময় বলা হতো ভারত-মিয়ানমার থেকে পশু না আসলে কোরবানি হবে না। এখন দেশীয় পশু দিয়ে কোরবানির চাহিদা মিটিয়েও এক দশমাংশ পশু উদ্বৃত্ত থাকে।
তিনি বলেন, দেশে এখন পর্যাপ্ত মাছ ও প্রাণিসম্পদ উৎপাদন হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন খাদ্যের চাহিদা মিটছে, পুষ্টি চাহিদা মিটছে। অন্যদিকে এ খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত প্রায় এক কোটি মানুষ স্বাবলম্বী হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে। এর ফলে গ্রামে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ থেকে এখন বহুমুখী পণ্য তৈরি হচ্ছে। মাছ থেকে মাছ জাতীয় পণ্য; মাংস, দুধ ও ডিম থেকে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। যা রপ্তানির ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক ক্যাটাগরিতে পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা সাফল্য তুলে ধরে মন্ত্রী আরও যোগ করেন, এই ইনস্টিটিউট বিলুপ্তপ্রায় ৩১ প্রজাতির দেশীয় মাছ বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে ফিরিয়ে এনেছে। এ মাছ যাতে আবার হারিয়ে না যায় সে জন্য লাইভ জিন ব্যাংক করা হয়েছে। এখন দেশের সব জায়গায় স্বাদু পানির দেশি মাছ, চাষের মাছ এবং সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যাচ্ছে। ইলিশের উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সবই সম্ভব হয়েছে, কারণ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের কৃষি উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২টি প্রতিষ্ঠান ও ৮ জন ব্যক্তিকে কৃষি পদক প্রদান করা হয়। এর মধ্যে দেশের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে সেরা উদ্ভাবন ক্যাটাগরিতে পদক অর্জন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।