বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ২০১৯ সালের পর এই প্রথম ইদলিব প্রদেশে বড় ধরনের হামলা করল মার্কিন বাহিনী। সেবারের হামলায় আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের প্রধান নেতা আবু বকর আল বাগদাদি নিহত হয়েছিলেন।
তবে এবার আতমে শহরের যে এলাকায় হামলা হয়েছে- সেটি আইএসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ও বৈরী সংগঠন আল কায়দার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দফতর পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, আতমে শহরের যে এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে- সেখানে সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্তানা ছিল এবং প্রকৃতপক্ষে এটি কোনো হামলা নয়, বরং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান।
বৃহস্পতিবার এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ডের অধীনে সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে মার্কিন সৈন্যদলের বিশেষ বাহিনী। অভিযান সফল হয়েছে এবং কোনো সেনা সদস্য হতাহত হয়নি।’
আতমে শহরের বাসিন্দারা বিবিসিকে বলেছেন, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে তারা প্রচুর সংখ্যক হেলিকপ্টারের শব্দ শুনতে পান এবং তার কিছুক্ষণ পর থেকেই শুরু হয় গোলাগুলি ও বোমা বর্ষণের। প্রায় দুই ঘণ্টা গুলি ও বোমার শব্দ শুনেছেন তারা।
এদিকে, শহরের যে এলাকায় এই হামলা হয়েছে- সেখানে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন এএফপির সিরীয় প্রতিনিধি। তিনি জানিয়েছেন, হামলার পর পুরো এলাকা ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে।
৩০ লাখ মানুষ অধ্যুষিত আতমে শহরটি মূলত নিয়ন্ত্রণ করে হায়াত তাহরির আল শাম নামে একটি জঙ্গিগোষ্ঠী। কয়েক বছর আগে আল কায়দার সিরিয়া শাখার কয়েকজন সাবেক নেতা এই গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠা করেন।
হায়াত তাহরির আল শাম সিরিয়ার ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের কট্টর বিরোধী। আতমে তাদের অন্যতম শক্তিশালী ঘাঁটি।
গত কয়েক মাস ধরেই ইদলিবের বিভিন্ন শহরে ছোটখাটো অভিযান চালিয়ে আসছে মার্কিন বাহিনী। গত বছর ২৩ অক্টোবর এ রকম এক মার্কিন অভিযানে এই ইদলিবেই নিহত হয়েছিলেন আল কায়েদার জ্যেষ্ঠ নেতা আবদুল হামিদ আল মাতার।