বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় দেশব্যাপী কার্যত লকডাউন চলছে। গত ২৫ মার্চ থেকে এ অবস্থা শুরু হয়েছে। সরকার কয়েক দফায় সাধারণ ছুটি বাড়িয়েছে। সর্বশেষ ছুটি বাড়িয়ে আগামী ৫ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।
জরুরি প্রয়োজন মোকাবেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, চিকিৎসাসেবা, খাদ্য সরবরাহকরী প্রতিষ্ঠান ও সীমিত আকারে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। ফলে অন্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষ করে জুয়েলারি শিল্প।
বাজুস বলছে, সারা দেশে প্রায় ১৮ হাজার নিবন্ধিত ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং এ শিল্পের সঙ্গে ৮০ হাজার স্বর্ণ শিল্পী যুক্ত রয়েছেন। আনুষঙ্গিক সব মিলিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২৮ লাখ মানুষ এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘ বন্ধের কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের নাভিশ্বাস হওয়ার অবস্থা। স্টাফদের বেতন, দোকান ভাড়া তাদের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা-এর মতো।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস প্রাচীন ও সম্ভাবনাময় এ শিল্পকে বাঁচাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত অর্থ প্রণোদনার একটি অংশ স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদে বিতরণ করার আহ্বান জানিয়েছে। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত জুয়েলার্সরা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, দোকান ভাড়াসহ অন্যান্য সমস্যা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়।
এছাড়া নিম্ন আয়ের স্বর্ণ শিল্পীদের রক্ষার্থে তালিকা করে রেশন কার্ড বিতরণ করে সরকারের রেশন সুবিধার আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়।