তিনি বলেন, ধীরে ধীরে আমরা সব কিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা করব। আপনারা যদি নিজেদের সুরক্ষিত রেখে এই সংক্রমণের হার কমাতে পারেন, মৃত্যুর হার কমাতে পারেন, তা হলে ধীরে ধীরে যোগাযোগ-যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহন আরও বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করব।
সোমবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধে সরকারের কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে রাজশাহী বিভাগের জেলাসমূহের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পণ্য পরিবহনের ব্যাপারে বাধা নেই। আরও কীভাবে সুযোগ সৃষ্টি করতে পারি, সেটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। পণ্য পরিবহনের জন্য তো ট্রাক-ভ্যান লাগে। এসব কীভাবে বাড়ানো যায় সেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এখন ধান কাটার মৌসুম। কিছু কিছু ফসল উঠছে। জীবনযাপন ধীরে ধীরে উন্মুক্ত করতে হবে। সবাই নিজেকে সুরক্ষিত রেখেই কাজ করবেন। আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে সুযোগ সৃষ্টি করে দেব। পণ্য পরিবহন যেন স্বাভাবিক হয়। পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক হলে জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে, মানুষের জীবনযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আশা করি এ অবস্থা থাকবে না। এই দুঃসময় আমরা কাটিয়ে উঠব এবং আমাদের আবার শিল্পকারখানা সবই চালু হবে। আমাদের দেশের অর্থনীতি আবার সচল হবে। সেটির জন্য বিশেষভাবে কাজ করে যাব। দুর্যোগ আসে, মোকাবেলা করতে হয় এবং এই দুর্যোগটা তো বিশ্বব্যাপী। বিশ্বব্যাপী এই দুর্যোগ মোকাবেলায় দেশের সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
মসজিদে সীমিত আকারে নামাজ আদায় করার সিদ্ধান্তে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘরে বসে সবাই নামাজ পড়তে পারেন। ঘরে বসে বেশি বেশি দোয়া করেন। এখন রমজান মাস, সবাই আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের কাছে দোয়া করেন, করোনার হাত থেকে যেন বাংলাদেশ মুক্তি পায়।