এ জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ব্যাংকগুলো ঋণ দেওয়ার পর এ তহবিল থেকে ৪ শতাংশ সুদে অর্থ সহায়তা নিতে পারবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি সামাল দিতে ব্যাংকগুলোর যে তারল্য লাগবে, এর অর্ধেক জোগান দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে। এর মধ্যে অর্ধেক, অর্থাৎ, ৪ দশমিক ৫ শতাংশ পরিশোধ করবে ঋণ গ্রহিতা প্রতিষ্ঠান। বাকি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে। এই তহবিল থেকে ঋণের অর্ধেক ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে ব্যাংকগুলো।
সব ব্যাংক ঋণ দেওয়ার পর এ তহবিল থেকে অর্থ নিতে আবেদন করতে পারবে। তবে দুর্বল ব্যাংকগুলোর আবেদন কেস টু কেস ভিত্তিতে বিবেচনা করবে বলে জানানো হয়েছে।
এ তহবিলের মেয়াদ তিন বছর। তবে প্রতিটি ঋণের মেয়াদ এক বছর। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ব্যাংককে টাকা ফেরত দিতে হবে ব্যাংকগুলোকে। বিলম্ব হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হিসাব থেকে ২ শতাংশ সুদসহ টাকা কেটে নেবে।
করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব উত্তরণে ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সিএমএসএমই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো জন্য একটি।