বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষে কমান্ডার খুলনা নেভাল এরিয়ার তত্ত্বাবধানে কমান্ডিং অফিসার বানৌজা উপশম এবং পিআরও টু কমখুল কর্তৃক যশোর সিএমএইচ এর চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে উৎসাহ প্রদান ও মনোবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৫০টি পিপিই, ১৫০টি গগলস, ৭৫০টি মাস্ক, ৭৫০ হ্যান্ড গ্লাভস, ০৫টি স্পর্শবিহীন থার্মোমিটার ও ০১টি অটোমেটিক সু ডিসপে›সার এবং তার ১০০০টি রিফিল উপহার স্বরূপ প্রদান করেন।
কমান্ড্যান্ট যশোর সিএমএইচ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোর্শেদ রশীদ উক্ত উপহার সামগ্রী গ্রহণ করেন। নৌ ঘাঁটি তিতুমীর কর্তৃক খালিশপুর জংশন রোড এলাকায় বসবাসরত ২০০ গরীব ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
অপরদিকে মোতায়েনকৃত নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট বরগুনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় টহলের পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করে। এসময় মুদি দোকান ও কাপড়ের দোকান খোলা রাখার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ছয় হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা করা হয়।
নৌ কন্টিনজেন্ট বরগুনা ২৯৫টি অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে সহায়তা করে। এসময় ৫০টি জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। সাধারণ জনগণকে কাঁচা বাজার, ঔষধের দোকান ও মসজিদ ব্যবহারে সরকারী নীতিমালা অনুসরণের জন্য বাধ্য করা হয়।
একই সাথে অনুমোদিত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দোকান ব্যতিত সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী অন্য সকল প্রকার দোকান বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে।নৌ কন্টিনজেন্ট মংলা জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিগরাজ বাজার, মংলা বন্দর, মাখরদন, চিলা ও আপাবাড়ি এলাকায় টহল পরিচালনা করে। নৌ কন্টিনজেন্ট মংলা ১০২৩টি অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে সহায়তা করে। এসময় ১০০টি জনসচেতনতামূলক লিফলেট ও ৪০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়।