বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর উদ্যোক্তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আমাদের রপ্তানি খাতে চাহিদা ও বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতি প্রণয়নের জন্য তিন বছর পর পর রপ্তানি নীতি পরিবর্তন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এটা আনা হয়েছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ডব্লিউটিওর বিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য সেবা বহুমুখী করণে অগ্রাধিকারমূলক পণ্য সেবা খাত চিহ্নিতকরণ, রপ্তানি শিল্পের পশ্চাৎ ও অগ্র সংযোজন শিল্প স্থাপনে সহায়তা করা, শ্রম নির্ভর রপ্তানি খাতে গুরুত্ব প্রদান করা, দক্ষতা উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ সহজীকরণে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণের প্রতি এ নীতিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশেষভাবে গ্রাজুয়েশনের বিষয়টির ওপর দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। তারপর ২০২৬ এবং আরও তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ইইউতে আমরা যে গ্রেস পাব, তা বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ইকোনোমিক ডিপ্লোম্যাসিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের অ্যাম্বাসেডর যারা আছেন, তারা ডিপ্লোম্যাটিক কাজের পাশাপাশি ইকোনোমিক প্রমোশন, ক্যাম্পেইন এক্সপোর্ট ইমপোর্টে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন।
এ নীতিতে প্রত্যেকটি টপিক আলাদাভাবে আলোচনা করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, কীভাবে আরও বেশি বিদেশি ফান্ড আনা যায়, কীভাবে এক্সপোর্টকে বৃদ্ধি করা যায়, নীতিতে সেটা রাখা হয়েছে। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতে কিছু সম্ভাবনাময় নতুন খাত যেমন কৃত্রিম ফাইবার, হালাল পণ্য ও ফ্যাশন, মেডিকেল ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী যেমন পিপিই এবং ফ্রিলান্সিং খাত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সব খাত যেন সুবিধা পায় সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের রপ্তানিতে সম্পৃক্ত করতে সুনির্দিষ্ট নীতি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ব্যবসা ও বিনিয়োগ সহজীকরণে বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা সব প্রাইমারি গুডস যাতে দেশের বাইরে পাঠিয়ে না দেই। যেমন; তুরস্ক আমাদের কাছ থেকে র জুট নিয়ে যায়। তারা আবার ফাইনাল প্রোডাক্ট বানিয়ে ইউরোপের বাজারে দেয়। আমরা অবশ্যই র জুট এক্সপোর্ট করব, পাশাপাশি ফাইনাল প্রডাক্ট তৈরির দিকে মনোযোগী হতে হবে। তাহলে ভ্যালু অ্যাড বেশি হবে। এগুলোকে প্রটেকশন দেওয়ার জন্য কিছু বিধিবিধান এখানে আনা হয়েছে।
রপ্তানি পণ্য নিষিদ্ধ তালিকাও হালনাগাদ করা হয়েছে। আরেকটি বিষয় তিন থেকে চার মাস পর কমার্স সেক্রেটারির তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের অবজারভেশন নিয়ে রপ্তানি নীতি মনিটর করা হবে এবং প্রয়োজন হলে মডিফাই করা হবে বলেও জানান তিনি।