তিনি বলেন, রাষ্ট্র মালিকানধীন ব্যাংকগুলো সরকারের বিভিন্ন নীতি বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। এসব ব্যাংকের ব্যবসায়িক সহযোগিতা ছাড়া বড় বড় শিল্প কারখানাগুলো আজ এ পর্যন্ত আসতে পারত না। প্রান্তিক জনগণের কাছে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যাংকিং সেবা পৌছাতে তরুণ ব্যাংকারদের তাগাদা দেন তিনি।
জনতা ব্যাংকের এমডি এন্ড সিইও মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ২০২১ সালে জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে বেক্সিমকো গ্রুপ মোট ১১ হাজার ৬১০ কোটি টাকার পন্য রপ্তানী করে, যা ১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমান। বেক্সিমকোর মাধ্যমে মোট ৭০৭ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করে জনতা ব্যাংক। ব্যাংকের মোট রফতানি বাণিজ্যের ৭৯ শতাংশই হয়েছে লোকাল অফিসের মাধ্যমে। আর শাখাটির রফতানি বাণিজ্যের ৮৬ শতাংশ জোগান দিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ। পাশাপাশি কোভিড মহামারীর মধ্যেও এ গ্রুপটি ঋণের কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করেছে। এ ছাড়া মাল্টি ফ্যাবস লিমিটেড মোট ৫৮৩ কোটি টাকা পন্য রপ্তানি করে ২য় সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক এবং অর্গানিক শ্রীম্পস লিমিটেড গ্রুপ মোট ২৮৮ কোটি টাকার পন্য রপ্তানি করে জনতা ব্যাংকের ৩য় সর্বেচ্চ রপ্তানীকারকের মর্যাদা অর্জন করে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এস এম মাহফুজুর রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সোহেল এফ রহমানের হাতে সেরা গ্রাহকের ক্রেস্ট ও সম্মাননা তুলে দেন। পরে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মাল্টি ফ্যাবস লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক সালমান ফারুকী ও নির্বাহী পরিচালক আব্দুল কুদ্দুসের হাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানীকারক এবং অর্গানিক শ্রীম্পস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. সৈয়দ আবু আফসারের হাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানীকারকের ক্রেস্ট ও সম্মাননা তুলে দেন।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এস এম মাহফুজুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলো অনেক ভাল কাজ করছে। আমরা ব্যাংকটিকে আরো শক্তিশালী ভিতের উপর দাড় করাতে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের পরিচালক অজিত কুমার পাল, কে এম শামসুল আলম, মো. আসাদ উল্লাহ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, মো. আব্দুল মজিদ, রুবীনা আমীন এবং মেশকাত আহমেদ চৌধুরী, বেক্সিমকো গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা জামানুল বাহার, বেক্সিমকো টেক্সটাইলস এর সিএফও অনিল কুমার মহেশ্বরী, বেস্কিমকো ফার্মার সিএফও আলী নেওয়াজ সিনিয়র জিএম মো. মাসুম মিয়াসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনায় দেশের সামগ্রিক ব্যাবসা বাণিজ্যে মন্দাবস্থা বিরাজ করলেও সময়মত সঠিক পদক্ষেপ গ্রহন করায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিকেলসসহ বেক্সিমকো টেক্সটাইল বিভাগের ব্যবসা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব খাতে আগের বছরের চেয়ে তুলনামূলক ক্রয়াদেশও বেড়েছে। সব উদ্যোক্তার জন্যই ২০২১ সালে টিকে থাকাটা ছিল কঠিন। এ কঠিন সময়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ করেছে বেক্সিমকো।
এছাড়া অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও রফতানি আয় অর্জনে বেক্সিমকো গ্রুপ অনন্য ভূমিকা পালন করছে। গ্রুপটির সঙ্গে আমাদের পথচলা শুরু হয়েছিল দুই যুগেরও আগে। বেক্সিমকো সারা বিশ্বে তৈরি পোশাক, ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ রফতানি করছে। বেক্সিমকোর ২৮টি কোম্পানিতে ৬৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় গ্রুপটির অগ্রযাত্রার অংশীদার হতে পারায় জনতা ব্যাংক পরিবার গর্বিত।