সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিলকুশাস্থ হোটেল পূর্বাণীতে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এবং বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটি মার্কেটের (বিএএসএম) যৌথ উদ্যোগে ‘পুঁজিবাজারে মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির প্রভাব’ শীর্ষক কর্মশালায় প্যানেল আলোচক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কিছু অব্যবহৃত ফান্ড রয়েছে। যা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হবে। তার আগে নেগেটিভ খবর দিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী করে বাজার ফেলানো হচ্ছে। এরপরে সস্তায় ওই ফান্ড দিয়ে সিকিউরিটিজ কেনা হবে। হয়তো তখন সূচক ১ হাজার বেড়ে যাবে। এর বাহিরে গত কয়েকদিনের সূচক পতনের পেছনে যৌক্তিক কোনো কারন নেই।
তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেই লেখালেখি শুরু হয়ে যায়। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত করা হয়। এটা ঠিক না। কোম্পানির আর্নিংস বাড়লে শেয়ারের দামও বাড়বে। এতে করে মূল্যসূচক বাড়বে। এটাতো খারাপ কিছু না।
এছাড়াও তিনি বলেন, গত ১০ বছরে দেশের অর্থনীতির আকার, জিডিপি ও কোম্পানিগুলোর যে পরিমাণ পরিশোধিত মূলধন বেড়েছে, তাতে সূচক বাড়াটা স্বাভাবিক। এখন সূচক ৭৫০০ হওয়াটা স্বাভাবিক। এছাড়া দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ৩-৪ হাজার কোটি হওয়া উচিত ছিল। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা সময় উপযোগি না। তারা হয়তো ২০১০ সালের পরিস্থিতির কারনে ভয়ে এইসব ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ এবং প্যানেল আলোচক হিসেবে অধ্যাপক আবু আহমেদ, সাবেক কমিশনার আরিফ খান, সিরডাপের পরিচালক (গবেষণা) মোহাম্মাদ হেলাল উদ্দিন, বিআইবিএমের অধ্যাপক শাহ মো. আহসান হাবীব ও সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বিএএসএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী।