বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও ভারত প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন সেদেশের বাণিজ্য সচিব শ্রী বি ভি আর সুব্রহ্মণ্যম। সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আগে ২ ও ৩ মার্চ সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা হবে।
মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, এবারের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ বিশেষ করে অশুল্ক বাধা দূর করার ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনার সময় ভারত থেকে ট্রেনে পণ্য ও কাঁচামাল আমদানি শুরু হয়েছে। পণ্য বাংলাদেশে খালাস করার পর কনটেইনারগুলো ভারতে খালি ফেরত যায়। সেগুলোতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। তবে এ জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হয়। অনুমোদন ছাড়াই যাতে খালি কনটেইনারে ভারতে পণ্য রপ্তানি করতে পারে, সে প্রস্তাব করবে বাংলাদেশ।
এছাড়া ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশ সুবিধা অব্যাহত রাখতে চায় বাংলাদেশ। ঢাকায় ভারতের হাইকমিশন জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ও সচিব পর্যায়ের সভায় ভারতের এজেন্ডাগুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এতে পণ্য বাণিজ্যে রেল কনটেইনার সেবার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ঢাকায় ভারতের হাইকমিশন দুই দেশের প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোল-পেট্রোপোল দিয়ে ২০২০ সালের জুলাই থেকে কনটেইনার ট্রেন সার্ভিস চলাচল করলেও বাংলাদেশে অবকাঠামোগত সংকটের কারণে তা বাড়ছে না।
হাইকমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে ভারত একটি কনটেইনার হ্যান্ডলিং কেন্দ্র স্থাপন করতে আগ্রহী। যেখান থেকে আমদানি-রপ্তানির সব কনটেইনার ব্যবস্থাপনা করা হবে।