এই ওয়েবসাইটে গিয়ে অভ্যন্তরীণ ই-সেবা অংশে প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’র ফল অনুসন্ধানে প্রবেশ করে গ্রাহকরা ফল জানতে পারবেন।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শনিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রধান কার্যালয়ে এই ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
ওই সময় এনবিআর, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দুই পদ্ধতিতে প্রাইজবন্ডের ফল জানা যাবে।
একটি হলো সার্চ বক্সে বাংলা বা ইংরেজিতে সরাসরি প্রাইজবন্ডের নম্বর লেখা। এ পদ্ধতিতে একাধিক নম্বর একসঙ্গে অনুসন্ধান করতে হলে কমা দিয়ে নম্বরগুলো লিখতে হবে। সিরিজ নম্বরের ক্ষেত্রে প্রথম ও শেষ সংখ্যার মাঝে হাইপেন লিখে সার্চ করা যাবে। এর বাইরে মাইক্রোসফট এক্সেল ফাইল আপলোড করে ফল জানা যাবে।
যদি কারও কাছে অনেক প্রাইজবন্ড থাকে, তাহলে তিনি বন্ডের নম্বরগুলো একটি মাইক্রোসফট এক্সেল শিটে করে রাখবেন।
প্রতি ড্রর পর ওই এক্সেল ফাইল ওয়েবসাইটে আপলোড করার পর কোনো নম্বর লটারিতে পুরস্কার জিতলে সেটি আলাদা করে দেখানো হবে। এই ওয়েবসাইট সাবস্ক্রাইব অপশন আছে প্রাইজবন্ড গ্রাহকদের।
লটারির পর সাবস্ক্রাইবারের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যাবে এ সংক্রান্ত তথ্য।
দেশে বর্তমানে ৬৭টি সিরিজের প্রাইজবন্ড রয়েছে। প্রতিটি সিরিজ থেকে ৪৬টি করে পুরস্কার দেয়া হয়।
প্রতি তিন মাস পরপর লটারি হয় প্রাইজবন্ডের। একটি লটারিতে সব সিরিজে মোট ৩ হাজার ৮২টি প্রাইজবন্ড পুরস্কার পেয়ে থাকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, একসময় প্রাইজবন্ড খুবই জনপ্রিয় ছিল। মানুষ নিজের জন্য, প্রিয়জন ও সামাজিক অনুষ্ঠানে উপহার দিতেও প্রাইজবন্ড কিনত, কিন্তু প্রাইজবন্ডের লটারির থেকে পুরস্কার পেয়েছে কি না, সেটি খুঁজে বের করা বেশ কঠিন। ফলে ধীরে ধীরে এর জনপ্রিয়তা কমে এসেছে।
তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে, এখন যে পদ্ধতি চালু করা হলো, তাতে লটারির ফল জানা সহজ হবে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, প্রাইজবন্ডের সব পুরস্কার বিতরণ হয় না। এর অন্যতম কারণ প্রাইজবন্ডের গ্রাহকরা পুরস্কার সম্পর্কে অবহিত থাকেন না। অনেকে লটারির ফল খুঁজে দেখেন না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব শফিকুর রহমান।