পচেত্তিনো হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন, নিসের দায়িত্বে এখন আছেন ক্রিস্তফ গালতিয়ের। যে গালতিয়ের গত মৌসুমে লিলের কোচ হয়ে পিএসজিকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিলেন। পিএসজিকে হারিয়ে দলকে জিতিয়েছিলেন লিগ। শুধু তা–ই নয়, গত আগস্টে পিএসজিকে হারিয়ে ফরাসি কাপও জিতেছিলেন।
লিল থেকে এ মৌসুমের শুরুতে নাম লিখিয়েছেন নিসে, এখন নিসে থেকেই পিএসজিকে ‘জ্বালাচ্ছেন’। কিছুদিন আগে ফরাসি সুপার কাপে পিএসজিকে হারিয়েছেন নিসের হয়ে, গত রাতেও সে ধারার ব্যতিক্রম হলো না। গালতিয়েরের নিস পচেত্তিনোর পিএসজিকে হারিয়েছে ১-০ গোলে। এ নিয়ে পিএসজির বিপক্ষে টানা চার ম্যাচে গোল হজম করল না নিস।
নিসের মাঠেই গত রাতে খেলতে গিয়েছিল পিএসজি। এমবাপ্পে না থাকলেও মেসি, নেইমার, দি মারিয়া, ভেরাত্তি, মার্কিনিওস, নাভাস—সবাই ছিলেন। জয়ের জন্য সেটুকুও যথেষ্ট ছিল না। ৮৮ মিনিটে ডাচ উইঙ্গার ক্যালভিন স্টেংসের ক্রসে ভলি করে দলকে এগিয়ে দেন ফরাসি স্ট্রাইকার অ্যান্ডি দেলোর্ত।
এ নিয়ে লিগে টানা ৩ ম্যাচ জিতল নিস। লিগের ২৭ ম্যাচের মধ্যে ১১টিতেই গোল খায়নি দলটি। গোল না খাওয়ার এমন রেকর্ড যে পিএসজিরও নেই এ মৌসুমে।
মেসি, দি মারিয়া, এমবাপ্পে থাকলেও সব মিলিয়ে নিসের গোল বরাবর মাত্র আটটি শট নিতে পেরেছে পিএসজি। এতেই বোঝা যায়, নিসের রক্ষণভাগ কতটা দুর্দান্ত ছিল কাল। শুধু শট নেওয়াই নয়, নিসের বক্সে বল স্পর্শ করাটাই যেন কষ্টের কাজ মনে হচ্ছিল মেসিদের। সব মিলিয়ে নিসের বক্সে মাত্র ১৩ বার বল ধরতে পেরেছেন মেসি-নেইমাররা।
২০১৯ সালের এপ্রিলের পর এই প্রথম লিগে টানা দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ হারল পিএসজি। এক ম্যাচ আগেই নঁতের মাঠে গিয়ে হেরে এসেছিলেন মেসিরা। হারের কারণে লিগ টেবিলে পিএসজির অবস্থানে পরিবর্তন আসেনি যদিও। ১৩ পয়েন্টের ব্যবধানে এখনো শীর্ষেই আছে তারা। নিস উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে।