ডিএসইর দেওয়া তথ্য মতে, রোববার (০৬ মার্চ) ডিএসইর প্রধান সূচক অর্ধশতাধিক পয়েন্ট হারিয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। একইসঙ্গে আজও লেনদেন ৬০০ কোটির ঘরেই রয়েছে।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৫৭ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি ৬ হাজার ৬৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এর আগের দুই কার্যদিবসেও প্রধান সূচকের পতন হয়েছিল। বুধবার (২ মার্চ) ‘ডিএসইএক্স’৫৩ পয়েন্ট হারিয়েছিল। পরের দিন বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সূচকটি হারায় আরও ৩ পয়েন্ট। তিনদিনের পতনের কারণে ডিএসইর প্রধান এই সূচক হারিয়েছে ১১৩ পয়েন্ট।
রোববার বাছাইকৃত কোম্পানিগুলোর সূচক ‘ডিএসই৩০’ আজ ২৪ পয়েন্ট কমেছে। আর শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ‘ডিএসইএস’ কমেছে ১০ পয়েন্ট।
আজ সূচকের বড় পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর। কোম্পানিটির কারণে আজ সূচক হারিয়েছে ১৩ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট।
গ্রামীনফোন এবং ওয়ালটনের কারণে সূচক হারায় আরও ১৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট।
এছাড়াও লাফার্জ হোলসিম, রবি, ইউনাইটেড পাওয়ার গ্রিড, বেক্সিমকো ফার্মা, রেনেটা, স্কয়ার ফার্মা এবং ওরিয়ন ফার্মার কারণে সূচক হারায় আরও ১০ দশমিক ৬১ পয়েন্ট।
এই দশ কোম্পানির কারণে ডিএসই সূচক হারিয়েছে ৪২ দশমিক ১৮ পয়েন্ট।
রোববার সূচকের আরও বড় পতন ঠেকিয়েছে বিকন ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, সোনালী পেপার, কেয়া কসমেটিকস্, ন্যাশনাল ব্যাংক, বিডি থাইফুড, ডেসকো, পূবালী ব্যাংক এবং আর এন স্পিনিং। এসব কোম্পানির কারণে সূচকে ৪ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট।
সূচকের বড় পতনের দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। আজ ডিএসইতে ৬৫১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন (বৃহস্পতিবার) লেনদেন হয়েছিল ৬৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার।
আজ ডিএসইতে ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৯৮টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ২৪৭টির। বাকি ৩৪টি কোম্পানির শেয়ারদর আজ অপরিবর্তিত ছিল।
রোববার ডিএসইতে দরৃবদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে তিনটির দর যতটুকু বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব ততটুকুই বেড়েছে। এর মধ্যে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড আজ দরবৃদ্ধি তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছে। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিডি থাইফুডের শেয়ারদরও এদিন ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
এছাড়াও, ফার কেমিক্যালের ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ, হা-ওয়েল টেক্সটাইলের ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ, এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ, এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ডের ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, সিএপেএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ইউনিটের শেয়ারদর ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়েছে।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় ৭ দশমিক ১০ শতাংশ কমেছে।
এছাড়াও, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ, প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ৫ দশমিক ২০ শতাংশ, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ, কুইন সাউথ টেক্সটাইলের ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ, প্যাসিফিক ডেনিমসের ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ, আরামিট সিমেন্টের ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ৪ দশমিক ০১ শতাংশ এবং অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমেছে।