মঙ্গলবার বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবির সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন তিনি মন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এর চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সরকার কয়েকটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এসব প্যাকেজ বাস্তবায়নে ব্যাংকগুলোকে সর্বাত্মক ভূমিকা রাখতে হবে। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতেও পরামর্শ দেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা প্যাকেজ বাস্তবায়নে সরকারকে সবধরনের সহায়তার কথা বলেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্যাকেজগুলোর প্রশংসাও করেন। প্যাকেজ বাস্তবায়নে তারল্য পরিস্তিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যাংকগুলোর সিআরআর ও এসএলআর কমানো হয়েছে সেসব সিদ্ধান্তেরও প্রশংসা করেন চেয়ারম্যানরা।
বিএবি এবং এবিবির চেয়ারম্যান দুজনেই করোনভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ৯৮ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার সরকারি প্রণোদনা প্যাকেজের প্রশংসা করেছেন।
প্যাকেজের সামগ্রিক আকার দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশে। অর্থনীতিতে প্রয়োজনীয় তহবিল ইনজেকশনের জন্য তারল্য সংকট দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) নীতিগত উদ্যোগ ও নীতিসহায়তার প্রসংশা করেন এবিবি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার।