সংকটে মিউচ্যুয়াল ফান্ড

দুর্দিনে শেয়ারবাজারকে সাপোর্র্ট দেয়া তো দূরের কথা তালিকাভুক্ত সবকটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডই চরম সংকটে রয়েছে। তালিকাভুক্ত ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৫টির দাম অভিহিত মূল্যের নিচে নেমে গেছে। বাকি দু’টির দামও অভিহিম মূল্যের কাছাকাছি।

শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফান্ড ম্যানেজারদের ব্যর্থতার কারণে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর এমন করুণ দশা। ফান্ড ম্যানেজাররা সঠিকভাবে বিনিয়োগ পরিকল্পনা করে বিনিয়োগ করতে পারেনি। ফলে বিনিয়োগকরীদের ভালো রটার্ন দিতে পারছে না মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো। যে কারণে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ওপর থেকে বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারিয়েছে ফেলেছেন। তাই নামমাত্র দামেও মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীরা কিনতে চাচ্ছেন না।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের শেয়ারবাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যারা শেয়ারবাজার ভালোভাবে বোঝেন না তারা নিরাপদ বিনিয়োগের জন্য মিউচ্যুয়াল ফান্ড কিনেন। এতে ভালো রিটার্নও পান বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু আমাদের দেশে মিউচ্যুয়ালগুলোর চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো নিজেরাই ধুকছে। ফলে বাজারে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারছে না।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, অভিহিত মূল্যের ওপর থাকা দুই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে রয়েছে- প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও গ্রামীণ ওয়ান : স্কিম টু।

এর মধ্যে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দাম ১২ টাকায় এবং গ্রামীণ ওয়ান : স্কিম টু ফান্ডের দাম ১১ টাকা ২০ পয়সায় অবস্থান করছে। বাকি মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে ১১টার দাম ৫ টাকার নিচে নেমে গেছে। ৫ থেকে ৭ টাকার মধ্যে আছে ১৭টি। ৭ টাকার ওপরে দাম থাকা বাকি ৭টির মধ্যে চারটির দামই আট টাকার নিচে। বিনিয়োগকারী মনির বলন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো খুবই করুণ দশার মধ্যে রয়েছে।

বেশিরভাগ মিউচ্যুয়াল্ড ফান্ডের যে দাম, তার থেকে এক কাপ চায়ের দাম বেশি। দাম কম হওয়ার কারণে আমি পাঁচটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড কিনেছিলাম। কিন্তু একটির দামও বাড়েনি। উল্টো কমছে। বাজার খোলার পর কী অবস্থা হবে তা বুঝতে পারছি না।

এ প্রসঙ্গে ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লক্ষ্য হলো বাজারকে সাপোর্ট দেয়া এবং নিজেরা প্রফিট করা। ভারতের মিউচ্যুয়াল ফান্ড জমজমাট। আর আমাদের এখানে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কোনো খবর নেই। খোঁজ নিয়ে দেখেন সব আজেবাজে শেয়ার কিনে বসে আছে। এসব মিউচ্যুয়াল ফান্ড অভিহিত মূল্যের নিচে থাকবে না তো কী উপরে থাকবে! মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ফান্ড ম্যানেজারদের পেশাগত দক্ষতার অভাব রয়েছে। এমনকি তাদের সততাও প্রশ্নবিদ্ধ!

###

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত