একইভাবে এর আগের, অর্থবছরে (২০১৯-২০২০) সুদ ব্যয় খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ৫৭ হাজার ৭০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৫৭ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা। কিন্তু অর্থবছর শেষে ব্যয় করা হয় ৫৮ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা।
বাজেটে সুদ ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। ক্রমেই এই ব্যয় বেড়ে অর্থনীতির উপর চাপ সৃষ্টি করছে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সুদ ব্যয় খাতে শতভাগ অর্থ ব্যয়ের পরিবর্তে ১১১ শতাংশ অর্থ খরচ করা হয়েছে। এর আগের, অর্থবছরে এই হার ছিল ১০১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরেও সুদ ব্যয়ের পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না।
সুদ ব্যয় বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গত দুই অর্থবছরে সুদ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার মূল কারণ সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়ে যাওয়া। এই খাত থেকে সরকারের বেশি করে ঋণ নেওয়ার কারণে সুদের খরচ অনেক বেড়ে যায়। কারণ সঞ্চয়পত্রে সুদের হার অনেক বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবার সুদ ব্যয় বাজেটের লক্ষ্যমাত্রায় রাখা সম্ভব হতে পারে। কারণ সুদের হার কমিয়ে দেওয়ার কারণে সঞ্চয়পত্রে বিক্রি বেশ কমে গেছে। তবে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় বেড়ে গেলে সরকারকে বেশি করে ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন পরতে পারে। এতে সুদ ব্যয়ও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
উল্লেখ্য, চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে সুদ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৮ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। এরমধ্যে অভ্যন্তরীণ সুদ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা।