পশ্চিমাদের সামরিকজোট ন্যাটোতে যোগ দিবে না ইউক্রেন। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি মেনে নিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বিষয়টি এখন দেশবাসীরও মেনে নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য নেতৃত্বাধীন জয়েন্ট এক্সপেডিশনারি ফোর্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলাপকালে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, "এটি স্পষ্ট যে ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য নয়; আমরা এটি বুঝি। কয়েক বছর ধরে আমরা শুনে আসছি ন্যাটোর দরজা খোলা।"
"কিন্তু আমরা ইতোমধ্যে এটিও শুনেছি যে, আমরা ওই দরজা দিয়ে ঢুকতে পারবো না। এটি সত্য এবং বিষয়টি আমাদের মেনে নেওয়া উচিত", যোগ করেন তিনি।
ইউক্রেনের আগ্রাসন চালানোর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অন্যতম দাবি ছিল, দেশটি যেন ন্যাটোর সদস্যপদ না পায়। রাশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ইউক্রেন ও পশ্চিমাদের প্রতি এ দাবি জানিয়েছিলেন পুতিন। কিন্তু ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষার পাশাপাশি দেশটির মস্কোপন্থী বিদ্রোহীদের মদদে পরিস্থিতির উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গেল মাসের ২৪ তারিখ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করতে সেদেশে 'বিশেষ সামরিক অভিযানের' ঘোষণা দেন। এর সঙ্গে সঙ্গেই একাধিক আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইইউভুক্ত (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) বেশ কয়েকটি দেশ এ নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পাশপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তাও দিচ্ছে। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা এই সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত হবে বলেই আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।